মোটরবাইক
চালাচ্ছেন। চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল? এখন উপায়? ভয়
পাওয়ার কিছু নেই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে মোটরবাইকের কিছু টিপস মনে রাখলেই এ
ধরনের ঝামেলা থেকে উদ্ধার হওয়া যাবে।
* দুই থেকে তিনবার ব্রেক করে দেখুন, ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কি না
* ক্লাচ ধরছে বা ঠিক আছে কি না দেখে নিন।
* কোনো টিউবে হাওয়া (প্রেশার) খুব কম থাকলে তা সাধারণত খালি চোখেই বোঝা যায়। সামান্য কম মনে হলেও অবহেলা করবেন না। আর এটা আপনি বাইক চালানোর সময়ই বুঝতে পারবেন। বাইকের টিউবে হাওয়া কম থাকলে চালানোর সময় ভারসাম্যগত ঝামেলা হতে পারে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। আর টিউবে হাওয়া কম থাকলে বাইকের তেলও খরচ হয় বেশি।
* প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, যেমন- স্টার স্ক্রু ড্রাইভার, প্লাগ রেঞ্চ বাইকে আছে কি না দেখে নিন।
* অনেকেই নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বাইক সার্ভিস করাতে চান না। রুটিন-মাফিক সার্ভিস করালে হঠাৎ বিকল হওয়ার হাত থেকে অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সাধারণত ১০০০ কিলোমিটার চলার পর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে।
* গাড়ি চালানোর সময় বাইকের নিবন্ধন সনদ, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদ, বীমা সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখুন। এ জন্য একটা ছোট ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
* মোটরবাইকের ইঞ্জিন থেকে পেছনের চাকায় শক্তি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করে চেইন। যথাযথ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটা ছিঁডে যেতে পারে। ঢিলে হলে টাইট করে নেওয়াটাই ভালো হবে।
চলার পথে
* চলন্ত অবস্থায় ফোনকল না ধরাই ভালো। তবে একান্তই ফোনকল ধরতে চাইলে অবশ্যই জায়গা বুঝে বাইকটি পার্ক করুন। নির্দিষ্ট স্থানে জায়গা না থাকলে মূল রাস্তায় না রেখে আশপাশের এমন রাস্তায় রাখুন, যেখানে যানবাহনের চলাচল কম। এতে বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন আপনি।
* ভারী যানবাহনের ডান দিক (যদি সেখানে অল্প জায়গা থাকে) দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি একান্তই সেই সুযোগ থাকে, তাহলে বাইকের হর্ন অল্প বিরতিতে বাজাতে বাজাতে বের হয়ে যান। তার আগে নিশ্চিত হোন, আপনি কী করতে যাচ্ছেন ভারী যানবাহনের চালকটি সেটা বুঝতে পেরেছেন কি না।
* ব্যস্ত রাস্তায় বাইক চালানোর সময় বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতির সঙ্গে আপনাকে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। তাই দ্রুত তাল মেলাতে হলে আপনাকে ডান পায়ের আঙুল পেছনের ব্রেক প্যাডেলের ওপর রাখতে হবে। আর মাঝেমধ্যে আপনাকে এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে, সে জন্য আপনার উপস্থিত বুদ্ধি আর দক্ষতার ওপরই ভরসা রাখতে হবে।
* ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে পৌঁছানোর আগে থেকে বাইকের গতি কমিয়ে ফেলুন। এতে আপনার তেল আর ব্রেক প্যাডেলের ক্ষয় হবে কম। হার্ডব্রেক আপনার দেহের জন্যও ক্ষতিকর। এটা মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।
* ভাঙা ও উঁচু রাস্তায় কম গতিতে বাইক চালান। যদি দেখেন, হঠাৎ স্পিডব্রেকার চলে এসেছে সামনে আর বাইকের গতিও কমাতে পারছেন না। তাহলে ওই অবস্থায় সিট থেকে আপনার কোমর একটু উঁচু করুন। এতে আপনার শরীরে ঝাঁকুনি অনেক কম লাগবে।
* গতিশীল অবস্থায় ভারী যানবাহনের কাছাকাছি পেছনে থাকবেন না।
* লেন পরিবর্তনের নিয়ম মেনে চলুন। পরিবর্তন করার আগে সিগন্যাল দিন। বাইকের দুই পাশের আয়নায় (লুকিং গ্লাস) দেখুন, বাকি লেনগুলোর গাড়িগুলো নিরাপদ দূরত্বে আছে কি না। এরপর ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত লেনে প্রবেশ করুন। বাইকের জন্য ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করা ঠিক নয়।
* মোড় নেওয়ার সময় অবশ্যই সিগন্যাল (ইন্ডিকেটর) ব্যবহার করুন। বাঁয়ে বা ডানে মোড় নিতে হলে সময় নিয়ে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট লেনে আসুন, তারপর মোড় নিন।
* টপ গিয়ারে রেখে গতিসীমা ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখলে বাইকের তেল খরচ কম হয়।
* শীতে দীর্ঘসময় বাইক না চালালে কিক দিয়েই বাইক চালানোর চেষ্টা করুন। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হবে কম।
* চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে মোটরবাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল ঘাবড়ে যাবেন না। সেলফ স্টার্টার থাকলে চলন্ত অবস্থায় দ্রুত নিউট্রল করে স্টার্ট দিয়ে আবার (বন্ধ হওয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) আগের গিয়ারে নিয়ে আসুন।
+ comments + 1 comments
আমি জানতে চাই টপ গিয়ারে বা গিয়ার বদল না করে কি ভাবে বাইকের গতি কমানো যাই
Post a Comment