বাউনডুলে

বাউনডুলে
Featured Post Today
print this page
Latest Post

জিপি ইন্টারনেট মডেমে এর সাথে অন্য মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সিম ব্যবহার করুন

জিপি মডেমে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের সিম কিভাবে ব্যবহার  করা যায় তা নিচে দেখুন




  • Connect GP Internet Modem with your PC Then GP internet Modem Default Software will Open
  • Go To Tools –>Options–>Profile Management
  • By Default GP-INTERNET Profile name have been selected
  • Now Select New From Right Side panel
  • For Robi Internet Write This Below Settings
Profile Name: Robi-INTERNET APN Static/APN : internet Access Number:*99***1# Now Enter your Robi Sim Then Select Profile Name Robi-INTERNET Then Click Connect From GP Modem software 
For Airtel Internet Follow This Below settings
Profile Name: Warid-INTERNET APN Static/APN : internet Access Number:*99***1# Now Enter your Warid Sim Then Select Profile Name Warid-Internet Then Click Connect From Gp Modem softwar  

For Banglalink Internet Follow This Below settings
Profile Name: Banglalink-WEB APN Static/APN : blweb Access Number:*99***1# Now Enter your Banglalink Sim Then Select Profile Name Banglalink-web Then Click Connect From Gp Modem software 
For Teletalk User use this below settings
Service Type – No Use No Pay
APN wap
IP 192.168.145.101
Port (optional) 9201

Service – Monthly/Daily Unlimited
APN gprsunl
IP 192.168.145.101
0 comments

কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কি করবেন? সহজ সমাধান



বর্তমানে আমরা সবাই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নির্ভর।প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন সেভ থাকে তেমনি নিজেও থাকা যায় চিন্তামুক্ত। আর এ ল্যাপটপ বা কম্পিউটারকে সেভ রাখতে প্রয়োজন পাসওয়ার্ড। কারণ পাসওয়ার্ড ব্যবহারে অন্য কেউ এটি ওপেন করতে পারবে না। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের কম্পিউটারটি নিরাপদে রাখলেও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় যখন এই পাসওয়ার্ডটি মনে থাকে না। বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে এ সমস্যা সমাধান করা যায়।
পদ্ধতি :
যে সব কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম উইনডোজ XP সেগুলার অধিকাংশতেই administrator account হিডেন থাকে এবং কোনো পাসওয়ার্ড থাকেনা।
পিসি রিস্টাট দেয়ার পর ওয়েলকাম স্কিন / উইনডোজ লগঅন স্কিন ওপেন হবে,
সেখান থেকে অ্যাডভান্সড লগইন স্কিন এ যেতে হবে।
এইজন্য পরপর দুইবার একইসাথে CTRL+ALT+DEL প্রেস করুন।
এবার টাইপ ইউজার নেইম Administrator এবং enter প্রেস করে লগইন করুন এবং আপনার একাউন্ট রিসেট করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন।
একাউন্ট রিসেট করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য ক্লিক Start এবং তারপর ক্লিক Run।
Run এর বক্স এ “control userpasswords2″ টাইপ করুন কোনো quotes ছাড়াই।
এখন আপনি এখান থেকে administrators অ্যাকাউন্ট সহ সব অ্যাকাউন্টই অ্যাকসেস করতে পারবেন এবং আপনার হারানো পাসওয়ার্ড রিসেট করতে পারবেন।
administrator/অন্য যে কোনো ইউজার একাউন্ট এ ক্লিক করুন এবং ক্লিক Reset Password.
একটা নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে কনফার্ম করে OK ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
পিসি রিস্টাট দিয়ে পুনরায় লগইন করুন।
0 comments

আপনার কম্পিউটার এর জন্য প্রয়োজনীয় ১১৫ টি রান কমান্ড দেখে নিন

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপনার কম্পিউটার এর জন্য ১১৫ টি রান কমান্ড ।
 1. Accessibility Controls - access.cpl
2. Accessibility Wizard - accwiz
3. Add Hardware Wizard - hdwwiz.cpl
4. Add/Remove Programs - appwiz.cpl
5. Administrative Tools - control admintools
6. Automatic Updates - wuaucpl.cpl
7. Bluetooth Transfer Wizard - fsquirt
8. Calculator - calc
9. Certificate Manager - certmgr.msc
10. Character Map - charmap
11. Check Disk Utility - chkdsk
12. Clipboard Viewer - clipbrd
13. Command Prompt - cmd
14. Component Services - dcomcnfg
15. Computer Management - compmgmt.msc
16. Control Panel - control
17. Date and Time Properties - timedate.cpl
18. DDE Shares - ddeshare
19. Device Manager - devmgmt.msc
20. Direct X Troubleshooter - dxdiag
21. Disk Cleanup Utility - cleanmgr
22. Disk Defragment - dfrg.msc
23. Disk Management - diskmgmt.msc
24. Disk Partition Manager - diskpart
25. Display Properties - control desktop
26. Display Properties - desk.cpl
27. Dr. Watson System Troubleshooting Utility - drwtsn32
28. Driver Verifier Utility - verifier
29. Event Viewer - eventvwr.msc
30. Files and Settings Transfer Tool - migwiz
31. File Signature Verification Tool - sigverif
32. Findfast - findfast.cpl
33. Firefox - firefox
34. Folders Properties - control folders
35. Fonts - control fonts
36. Fonts Folder - fonts
37. Free Cell Card Game - freecell
38. Game Controllers - joy.cpl
39. Group Policy Editor (for xp professional) - gpedit.msc
40. Hearts Card Game - mshearts
41. Help and Support - helpctr
42. HyperTerminal - hypertrm
43. Iexpress Wizard - iexpress
44. Indexing Service - ciadv.msc
45. Internet Connection Wizard - icwconn1
46. Internet Explorer - iexplore
47. Internet Properties - inetcpl.cpl
48. Keyboard Properties - control keyboard
49. Local Security Settings - secpol.msc
50. Local Users and Groups - lusrmgr.msc
51. Logs You Out Of Windows - logoff
52. Malicious Software Removal Tool - mrt
53. Microsoft Chat - winchat
54. Microsoft Movie Maker - moviemk
55. Microsoft Paint - mspaint
56. Microsoft Syncronization Tool - mobsync
57. Minesweeper Game - winmine
58. Mouse Properties - control mouse
59. Mouse Properties - main.cpl
60. Netmeeting - conf
61. Network Connections - control netconnections
62. Network Connections - ncpa.cpl
63. Network Setup Wizard - netsetup.cpl
64. Notepad - notepad
65. Object Packager - packager
66. ODBC Data Source Administrator - odbccp32.cpl
67. On Screen Keyboard - osk
68. Outlook Express - msimn
69. Paint - pbrush
70. Password Properties - password.cpl
71. Performance Monitor - perfmon.msc
72. Performance Monitor - perfmon
73. Phone and Modem Options - telephon.cpl
74. Phone Dialer - dialer
75. Pinball Game - pinball
76. Power Configuration - powercfg.cpl
77. Printers and Faxes - control printers
78. Printers Folder - printers
79. Regional Settings - intl.cpl
80. Registry Editor - regedit
81. Registry Editor - regedit32
82. Remote Access Phonebook - rasphone
83. Remote Desktop - mstsc
84. Removable Storage - ntmsmgr.msc
85. Removable Storage Operator Requests - ntmsoprq.msc
86. Resultant Set of Policy (for xp professional) - rsop.msc
87. Scanners and Cameras - sticpl.cpl
88. Scheduled Tasks - control schedtasks
89. Security Center - wscui.cpl
90. Services - services.msc
91. Shared Folders - fsmgmt.msc
92. Shuts Down Windows - shutdown
93. Sounds and Audio - mmsys.cpl
94. Spider Solitare Card Game - spider
95. SQL Client Configuration - cliconfg
96. System Configuration Editor - sysedit
97. System Configuration Utility - msconfig
98. System Information - msinfo32
99. System Properties - sysdm.cpl
100. Task Manager - taskmgr
101. TCP Tester - tcptest
102. Telnet Client - telnet
103. User Account Management - nusrmgr.cpl
104. Utility Manager - utilman
105. Windows Address Book - wab
106. Windows Address Book Import Utility - wabmig
107. Windows Explorer - explorer
108. Windows Firewall - firewall.cpl
109. Windows Magnifier - magnify
110. Windows Management Infrastructure - wmimgmt.msc
111. Windows Media Player - wmplayer
112. Windows Messenger - msmsgs
113. Windows System Security Tool - syskey
114. Windows Update Launches - wupdmgr
115. Windows Version - winver
0 comments

ইন্টারনেটে দেখুন ঝকঝকে বাংলা লেখা


ইউনিকোডে বাংলা ভাষা যোগ হওয়ায় ইন্টারনেটে সহজেই বাংলা পড়া ও লেখা যায়।
উইন্ডোজ এক্সপি ও ৭ সম্পূর্ণ ইউনিকোড সমর্থিত না হওয়ায় অনেক সময় বাংলা লেখা এলোমেলো এবং অস্পষ্টভাবে দেখতে হয়। ইন্টারনেট ব্রাউজার ফায়ারফক্সের সঙ্গে Arial Unicode MS নামের ফন্ট স্বয়ংক্রিয় ইন্সটল হয়ে ব্রাউজারে বাংলা লেখাকে উল্টাপাল্টা দেখায়। এটি মুছলে লেখা আর এলোমেলো দেখা যাবেনা।
এটি মুছতে হলে যা করনীয়ঃ
রানে গিয়ে fonts লিখে এন্টার করুন। এবার এখানে Arial Unicode MS ফন্টটি খুজে নিয়ে Shift+Del চেপে সেটি মুছে ফেলুন। এবারে ব্রাউজারে কিছু কাজ করতে হবে। ফায়ারফক্সের জন্যঃ Firefox বোতামে ক্লিক করে Tools>option-এ যান। Content ট্যাবের Fonts and colors- এর Advanced বোতামে ক্লিক করুন। Fonts for এ Bengali নির্বাচন করে Proportional এ Sans Serif নির্বাচন করুন। এখানে serif এবং sans serif বক্সে ইন্সটল থাকা ইউনিকোড ফন্ট দেখাবে অথবা আপনার পছন্দমতো ইউনিকোড ফন্ট নির্বাচন করে size ঘরে ১৬ দিয়ে Minimum font size-এ ১৭ করে ok করুন।
Google Chorme এর জন্য মেনু থেকে Settings-এ যান। Show advanced settings এ ক্লিক করে Web content এর Customize fonts এ ক্লিক করুন। Standerd font, serif font, sans serif font এ ইন্সটল থাকা ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ( যেমনঃ SolaimanLipi) নির্বাচন করে Minimum font size এ ১৫ নির্ধারণ করে ok করলে অনলাইনে যেকনো সাইটে বাংলা লেখা ও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে।
Note: একটি দৈনিক পত্রিকা থেকে সংগৃহীত।
0 comments

চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে মোটরবাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে? কি করবেন ?

মোটরবাইক চালাচ্ছেন। চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল? এখন উপায়? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে মোটরবাইকের কিছু টিপস মনে রাখলেই এ ধরনের ঝামেলা থেকে উদ্ধার হওয়া যাবে।



স্টার্ট করার আগে যা করবেন
* দুই থেকে তিনবার ব্রেক করে দেখুন, ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কি না
* ক্লাচ ধরছে বা ঠিক আছে কি না দেখে নিন।
* কোনো টিউবে হাওয়া (প্রেশার) খুব কম থাকলে তা সাধারণত খালি চোখেই বোঝা যায়। সামান্য কম মনে হলেও অবহেলা করবেন না। আর এটা আপনি বাইক চালানোর সময়ই বুঝতে পারবেন। বাইকের টিউবে হাওয়া কম থাকলে চালানোর সময় ভারসাম্যগত ঝামেলা হতে পারে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। আর টিউবে হাওয়া কম থাকলে বাইকের তেলও খরচ হয় বেশি।
* প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, যেমন- স্টার স্ক্রু ড্রাইভার, প্লাগ রেঞ্চ বাইকে আছে কি না দেখে নিন।
* অনেকেই নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত বাইক সার্ভিস করাতে চান না। রুটিন-মাফিক সার্ভিস করালে হঠাৎ বিকল হওয়ার হাত থেকে অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সাধারণত ১০০০ কিলোমিটার চলার পর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে।
* গাড়ি চালানোর সময় বাইকের নিবন্ধন সনদ, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদ, বীমা সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখুন। এ জন্য একটা ছোট ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
* মোটরবাইকের ইঞ্জিন থেকে পেছনের চাকায় শক্তি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করে চেইন। যথাযথ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটা ছিঁডে যেতে পারে। ঢিলে হলে টাইট করে নেওয়াটাই ভালো হবে।
চলার পথে
* চলন্ত অবস্থায় ফোনকল না ধরাই ভালো। তবে একান্তই ফোনকল ধরতে চাইলে অবশ্যই জায়গা বুঝে বাইকটি পার্ক করুন। নির্দিষ্ট স্থানে জায়গা না থাকলে মূল রাস্তায় না রেখে আশপাশের এমন রাস্তায় রাখুন, যেখানে যানবাহনের চলাচল কম। এতে বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন আপনি।
* ভারী যানবাহনের ডান দিক (যদি সেখানে অল্প জায়গা থাকে) দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যদি একান্তই সেই সুযোগ থাকে, তাহলে বাইকের হর্ন অল্প বিরতিতে বাজাতে বাজাতে বের হয়ে যান। তার আগে নিশ্চিত হোন, আপনি কী করতে যাচ্ছেন ভারী যানবাহনের চালকটি সেটা বুঝতে পেরেছেন কি না।
* ব্যস্ত রাস্তায় বাইক চালানোর সময় বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতির সঙ্গে আপনাকে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। তাই দ্রুত তাল মেলাতে হলে আপনাকে ডান পায়ের আঙুল পেছনের ব্রেক প্যাডেলের ওপর রাখতে হবে। আর মাঝেমধ্যে আপনাকে এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে, সে জন্য আপনার উপস্থিত বুদ্ধি আর দক্ষতার ওপরই ভরসা রাখতে হবে।
* ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে পৌঁছানোর আগে থেকে বাইকের গতি কমিয়ে ফেলুন। এতে আপনার তেল আর ব্রেক প্যাডেলের ক্ষয় হবে কম। হার্ডব্রেক আপনার দেহের জন্যও ক্ষতিকর। এটা মাথায় রাখার চেষ্টা করুন।
* ভাঙা ও উঁচু রাস্তায় কম গতিতে বাইক চালান। যদি দেখেন, হঠাৎ স্পিডব্রেকার চলে এসেছে সামনে আর বাইকের গতিও কমাতে পারছেন না। তাহলে ওই অবস্থায় সিট থেকে আপনার কোমর একটু উঁচু করুন। এতে আপনার শরীরে ঝাঁকুনি অনেক কম লাগবে।
* গতিশীল অবস্থায় ভারী যানবাহনের কাছাকাছি পেছনে থাকবেন না।
* লেন পরিবর্তনের নিয়ম মেনে চলুন। পরিবর্তন করার আগে সিগন্যাল দিন। বাইকের দুই পাশের আয়নায় (লুকিং গ্লাস) দেখুন, বাকি লেনগুলোর গাড়িগুলো নিরাপদ দূরত্বে আছে কি না। এরপর ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত লেনে প্রবেশ করুন। বাইকের জন্য ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করা ঠিক নয়।
* মোড় নেওয়ার সময় অবশ্যই সিগন্যাল (ইন্ডিকেটর) ব্যবহার করুন। বাঁয়ে বা ডানে মোড় নিতে হলে সময় নিয়ে আগে থেকে সংশ্লিষ্ট লেনে আসুন, তারপর মোড় নিন।
* টপ গিয়ারে রেখে গতিসীমা ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখলে বাইকের তেল খরচ কম হয়।
* শীতে দীর্ঘসময় বাইক না চালালে কিক দিয়েই বাইক চালানোর চেষ্টা করুন। এতে ব্যাটারির ক্ষতি হবে কম।
* চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে মোটরবাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল ঘাবড়ে যাবেন না। সেলফ স্টার্টার থাকলে চলন্ত অবস্থায় দ্রুত নিউট্রল করে স্টার্ট দিয়ে আবার (বন্ধ হওয়ার সময় যে অবস্থায় ছিল) আগের গিয়ারে নিয়ে আসুন।
1 comments

লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ


আজ দেখাবো কিভাবে লিনাক্স ইন্সটল করবেন। মোটামুটি সকল লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ইন্সটল করার নিয়ম একই। তবে ভার্শনভেদে একটু আধটু পার্থক্য থাকতে পারে। এখানে আমি লিনাক্স মিন্ট ১২ এর ইন্সটল করার নিয়ম দেখাচ্ছি। একই ভাবে উবুন্টু, বিভিন্ন ডেবিয়ান, এলএক্সডিই ও এক্সএফসিই রিলিজ ইন্সটল করা যাবে। চলুন দেখি কিভাবে।
  •  লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!! প্রথমে ডাউনলোড করা ISO টি পেন ড্রাইভে অথবা ডিভিডি-তে বার্ন করে নিন। এবার সেটা কম্পিউটারে লাগিয়ে রিস্টার্ট দিন। বুট মেনু থেকে সরাসরি ইউএসবি/ডিভিডি ড্রাইভ সিলেক্ট করে নিন। অথবা বায়োসে যেয়ে ইউএসবি/ডিভিডি “1st Boot Device” করে দিন (যদি পুরনো পিসি হয়)।
  •  লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!! বুট করার পর কিছুক্ষণ পর লিনাক্সের ডেস্কটপ আসবে। এই সময়টুকু অপেক্ষা করুন, কেননা সিস্টেম চালাতে দরকারী ফাইল কপি হয়ে র‍্যামে জমা হবে। ডেস্কটপ নিচের মত দেখাবে।
Desktop লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •    লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!   Install লেখা শর্টকাটে ক্লিক করুন। প্রথমেই আপনকে ভাষা নির্বাচন করতে হবে। চাইলে বাংলা নির্বাচন করুন। ভয় নেই, লিনাক্সে খুব সুন্দর বাংলা লেখা ও দেখার সুবিধা রয়েছে।
Language লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •     লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!    Continue বাটনে ক্লিক করুন। এবার ইন্সটল করার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো উপস্থিত কিনা তা দেখাবে। বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন অনুযায়ী ৪-১০ গিগাবাইট সম্পন্ন ড্রাইভ, ল্যাপটপ হলে সঠিক পরিমাণ চার্জ আছে কিনা এবং ইন্সটলেশনের সুবিধার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন আছে কিনা তা দেখানো হবে। Continue চাপুন।
Status লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •      লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!     এবার আসুন খুব গুরুত্বপুর্ণ একটি ব্যপারে – হার্ডডিস্কে কিভাবে লিনাক্স ইন্সটল করবেন। Continue Next ইত্যাদি চাপতে চাপতে ভুলেও এখানে না দেখে Continue চেপে বসবেন না। অবস্থাভেদে এখানে নিচের মত কয়েকটি অপশন দেখাতে পারেন। যেমন-
  1. “Erase disk and install”
  2. “Install alongside other operation system”
  3. “Replace existing OS and install”
  4. “Something else”
প্রথমটি অর্থাৎ ডিস্ক ইরেজ করলে আপনার হার্ডডিস্ক মুছে সবটুকুই লিনাক্সের জন্য ব্যবহৃত হবে। যদি হার্ডডিস্কের কোন ডাটা দরকার না হয় এবং সব মুছে শুধুই লিনাক্স ব্যবহার করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য। তবে এই কাজ না করাই ভালো। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অনেকেই সাধের ডাটা খুইয়েছেন। কাজেই সরে পড়ুন।

যদি আগে থেকেই লিনাক্সের কোন ভার্শন ইন্সটল করা থাকে অথবা তার চেয়ে আপডেটেড ভার্শন ইন্সটল করতে চান তাহলে রিপ্লেস করার অপশটি পছন্দ করতে পারেন।

Install alongside other OS অপশনটি আসবে যদি হার্ডডিস্কে ফাকা জায়গা থাকে। আর সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল Something else বাছাই করা। সেটা সিলেক্ট করে Continue চাপুন।

Partion লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •  লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!! এবার আপনার ডিস্কের পার্টিশনগুলো দেখাবে। আপনি যে ড্রাইভে ইন্সটল করতে চান সেটা খুজে বের করুন। আসলে সাইজ দেখেই বুঝতে পারবেন।
Disk+Choice লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
এবার একটু প্যাচাল পাড়ি। লিনাক্সে পার্টিশন ম্যানেজমেন্ট উইন্ডোজের চেয়ে একটু ভিন্ন। এখানে হার্ডডিস্ক চিহ্নিত করা হয় sda, sdb, sdc এভাবে এবং ডিস্কের পার্টিশন বাছাই করা হয় 1, 2, 3 এভাবে। অর্থাৎ আপনার ১টা হার্ডডিস্কে ৪টা ড্রাইভ থাকলে সেগুলো sda1, sda2, sda3, sda4 এভাবে দেখাবে। যদি ২টা থাকে তাহলে দ্বিতীয় হার্ডডিস্কের পার্টিশনগুলো দেখাবে sdb1, sdb2, sdb3 এভাবে।

আরো ব্যপার আছে। একটা হার্ডডিস্কে ৪টি প্রাইমারি পার্টিশন এবং যেকোন একটি প্রাইমারি পার্টিশনকে অনেকগুলো লজিকাল পার্টিশনে এক্সটেন্ড করা সম্ভব। কাজেই আপনার পার্টিশনগুলো যদি লজিকাল হয় তাহলে সেগুলো যথাক্রমে sda5, sda6, sda7 এভাবে দেখাবে। অর্থাৎ sda1 – sda4 এই চারটি পার্টিশন সংরক্ষিত থাকবে। যাহোক আপনার যে অংশে লিনাক্স ইন্সটল করতে চান সেটায় মার্ক করে Add বাটনে ক্লিকান।

New+Partition লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •  লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!  উপরের মত ছোট্ট একটা উইন্ডো আসবে। এখানে আপনাকে বাছাই করতে হবে পার্টিশনটি প্রাইমারি না লজিকাল হবে। তারপর কতটুকু ডিস্ক স্পেস লিনাক্স পার্টিশনের জন্য বরাদ্দ তা মেগাবাইটে বসাতে হবে। পুরোটা দিতে চাইলে যা আছে তাইই রেখে দিন। এবার দেখুন পার্টিশনটা ফাকা জায়গার শুরু না শেষ অংশে হবে। অর্থাৎ যদি ফাকা জায়গা থেকে যায় সেটা লিনাক্স পার্টিশনের আগে না পরে থাকবে সেটা ঠিক করতে হবে। এখানে Beginning দেওয়াই ভাল। তারপর ফাইল সিস্টেম কেন হবে তা সিলেক্ট করুন। এখানে লিনাক্সের জন্য জার্নালিং ফাইল সিস্টেম EXT ব্যবহার করা হয়। এর চারটি ভার্শন দেখানো হবে। যাদের কম্পিউটারে ইউপিএস নেই তারা ext3 বা ext2 দিবেন এবং যারা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তারা যেকোনটি দিতে পারেন। কেননা ext4 এমন একটি সিস্টেম যা পাওয়ার কমাতে ডাটা বাফারে রেখে কিছু সময় পর পর ডিস্কে রাইট করে। এবার Mount point নির্বাচন করতে হবে। এখানে কিছু জানার আছে।
  •  লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!! লিনাক্সের ফাইল সিস্টেম কতগুলো ফোল্ডার নিয়ে গঠিত যেমন bin, boot, lib, opt, mnt, media, usr, dev, etc, sbin, root, sys, home ইত্যাদি। বিভিন্ন ফোল্ডারে সিস্টেমের বিভিন্ন অংশ থাকে। সুবিধার জন্য আপনি এগুলো আলাদা আলাদা পার্টিশনে রাখতে পারেন। যেমন home ফোল্ডারটি হল ইউজারের নিজস্ব ফোল্ডার যেখানে সকল সেটিংস ও ডাটা সংরক্ষিত থাকে (Windows এ Documents and Settings বা Users এর মত)। আবার libs এ দরকারী সকল সিস্টেম ফাইল ও লাইব্রেরী থাকে (Windows এর system32 এর মত)। আপনি আলাদা আলাদা অংশে এগুলো সেট করলে পরবর্তীতে ডাটা না মুছেই লিনাক্স ইন্সটল করতে পারবেন। বিশেষ করে home অংশটা আলাদা করলে পরে লিনাক্স ইন্সটল করলেও আপনার সেটিংস সহ সকল ডাটা অক্ষত থাকবে। কাজেই Mount point এ যেয়ে আপনি পৃথক পৃথক পার্টিশনে ফোল্ডারগুলো সেট করে দিতে পারেন। তা না চাইলে যেকোন পার্টিশনে শুধু রুট (“/”) হিসেবে মাউন্ট দিলেই সেটার মাঝে সকল ফোল্ডার ইন্সটল হবে। OK চাপলে নিচের মত দেখাবে।
Done লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •     লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!    আপনি যদি সোয়াপ অর্থাৎ পেজিং ব্যবহার করতে চান তাহলে কোন একটি ফাকা জায়গায় উপরের মতই Use as অপশনে swap space সিলেক্ট করে দিন। যাদের র‍্যাম কম তারা র‍্যামের সমপরিমাণ জায়গা সোয়াপের জন্য দিবেন। তবে র‍্যাম বেশী থাকলে সোয়াপ নাও দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি হাইবারনেট ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেননা। জেনে নিন, ইন্সটলের পরেও আপনি সোয়াপ কনফিগার করতে পারেন। পার্টিশন জনিত কাজ শেষ হলে Continue চাপুন।
Warning লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •    লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!   এরকম উইন্ডো দেখাতে পারে। আবার কন্টিনিউ করুন। এবার আপনার টাইম জোন বেছে নেওয়ার পালা। ম্যাপ থেকে বাংলাদেশ বা যেখানে আছেন সেখানে ক্লিক করুন।
Location লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •    লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!   এবার কিবোর্ড লেআউট বাছাই করার পালা। ইংরেজী কিবোর্ড তো থাকবেই, সাথে আপনি বাংলার জন্য জাতীয় কিংবা প্রভাত লেআউট বেছে নিতে পারেন।
Keyboard লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •     লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!   এবার আপনার পরিচয় দেবার পালা। চটপট বক্সে নাম, কম্পিউটারের নাম, সুন্দর একটা ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড বসিয়ে দিন। পাসওয়ার্ডটা একটু মনে রাখবেন কেননা পরে সিস্টেমের কনফিগারের কাজে এটা সবসময় আপনার লাগবে। যদি হোম ফোল্ডার অর্থাৎ যেখানে আপনার নিজের তথ্য, সেটিংস থাকে সেটা পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড করতে চান তাহলে [o] Encrypt my home folder এ চেক দিন।
Info লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •      লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!     এবার Continue চেপে নড়ে চড়ে বসুন। একটা স্লাইডশো দেখানো হবে বিভিন্ন ফিচার নিয়ে। সেটা টেনেটুনে দেখতে থাকুন। পাঁচ-দশ মিনিটেই ইন্সটলেশন হয়ে যাবে। পুরনো পিসিতে দেরী লাগতে পারে। অপেক্ষা করুন।
Slide লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
  •    লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!     ইন্সটলের কাজ হয়ে গেলে রিস্টার্ট করতে বলবে। রিস্টার্ট বাটনে চেপে সিস্টেম রিবুট করুন।
Linux+%255BRunning%255D+ +Oracle+VM+VirtualBox 020 লিনাক্স: ইন্সটলেশন প্রসেস। ছবিসহ সম্পুর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল!!
স্বাগতম! কম্পিউটারে লিনাক্স ইন্সটলের কাজ শেষ। এবার আপনি লিনাক্স ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। পরের পর্বে থাকছে সিস্টেম ইন্সটলের পর দরকারী টুইক ও নানা কাস্টোমাইজেশন নিয়ে টুকিটাকি কথা। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
0 comments

অনলাইনে জিডি করবেন যে ভাবে!


 জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।
 
এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম  যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

অনলাইন জিডি
ডায়েরি (জিডি) করতে এখন আর থানায় গিয়ে আবেদনপত্র লিখতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আপনি নিজেই করতে পারেন সাধারণ ডায়েরি। আপনার দলিল, সার্টিফিকেট, পরিচয়পত্র ইত্যাদি হারানো, চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে বাসায় বসেই নিরাপদে অনলাইনে জিডি করতে পারেন । শুরুতে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটনের সব থানার আওতায় বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। পাসপোর্ট, ব্যাংকের চেক বই, সার্টিফিকেটসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ দলিল হারিয়ে গেলে অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি করা যাবে। এ ছাড়া বখাটে, মাদকসেবী বা অপরাধীদের আড্ডাস্থল বা অন্য কোনো অবৈধ সমাবেশ সম্পর্কিত অভিযোগ অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে।
যেভাবে জিডি করবেন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইট http://www.dmp.gov.bd/ ঠিকানায় প্রবেশের পর প্রধান পৃষ্ঠার ব্যানারের নিচেই দেখতে পাবেন Citizen Help Request নামের একটি ট্যাব। এই ট্যাবে ক্লিক করলে চলে আসবে আলাদা একটি পাতা। পাতার শুরুতেই অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি নিয়ে কিছু বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। নিচের অংশে রয়েছে তথ্য দেওয়ার তালিকা। এই তালিকা থেকে আপনি যে ধরনের সাধারণ ডায়েরি করতে চান তা নির্বাচন করুন। নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী পাতায় আপনি পাবেন ডায়েরি করার ফরম। ফরম পূরণের শুরুতে আপনি যে থানায় ডায়েরিটি করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর আপনার নাম, ঠিকানাসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি পূরণ করে Submit বাটনটি ক্লিক করলেই সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছে যাবে আপনার তথ্য। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি একটি শনাক্তকরণ নম্বর ও থানা থেকে কবে ডায়েরি সংক্রান্ত সত্যায়িত কাগজটি সংগ্রহ করবেন তার সময় জানতে পারবেন। নম্বরটি সংরক্ষণ করুন। কারণ থানা থেকে আপনার সাধারণ ডায়েরির সত্যায়িত কপিটি সংগ্রহ করতে পরে নম্বরটির প্রয়োজন পড়বে।
তথ্য ও পরামর্শ
অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শ ও তথ্যের জন্য bangladesh@police.gov.bd ঠিকানায় মেইল পাঠাতে পারেন। অথবা ফ্যাক্স করতে পারেন ০২-৯৫৫৮৮১৮ নম্বরে


জিডির নমুনা
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
.......... থানা
ঢাকা।
 
বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।
 
মহোদয়,
আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।
 
এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
 
সার্টিফিকেটের বিবরণ:
পরীক্ষার নাম...শিক্ষাবর্ষ...রেজিষ্ট্রেশন নং... রোল নং...
 
দাখিলকারী,
....
ঠিকানা...
ফোন...
1 comments

জেনে নিনপরিচয়পত্রে ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে কি করবেন ?জেনে নিন

 

জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’-এর পরিচালকের কাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়। ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমান সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, চাকরির প্রমাণপত্র, পাসপোর্ট, নিকাহনামা এবং পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেওয়ার দরকার নেই।নাম পরিবর্তনঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেওয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।ঠিকানা সংশোধনঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ ২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

যাঁরা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তাঁরা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।

নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যাঁদের বয়স এখন ১৮ হচ্ছে, তাঁরা কি ভোটার হতে পারবেন? এ বিষয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু জানান, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম ওঠার কথা। কিন্তু এখন শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় নাম ওঠানোর সুযোগ রাখা হচ্ছে। সারা বছর ভোটার তালিকায় নাম ওঠানোর সুযোগ নেই কেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুধু একটি কার্যালয়ে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি এবং এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। নতুন কারও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠাতে হয়। এটি অনেক বড় একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল ও সহায়ক সরঞ্জামের অভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জটিলতায় পড়তে হয়। এই জটিলতা এড়াতে আপাতত সারা বছর ভোটার তালিকায় নাম ওঠানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যাঁর বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাঁদেরই, যাঁদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।

যোগাযোগঃ ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে নগরবাসীকে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।

0 comments
Flag Counter
 
Helped By : Copyright © 2014. বাউনডুলে - All Rights Reserved
Proudly powered by Blogger